Wednesday, December 17, 2008

কুড়িগ্রম কথা kurigrammemories

7:49 PM 12/17/2008
রাশিয়ান কমরেড অধ্যায়ে জীবন দে লিখছেন--পারটির function তখন দ্বিবিধ।প্রকাশ্য ও গোপণ।মাঝে মাঝেই প্রকাশ্য কমরেডদের গ্রামে এনে গোপণ সংগঠনের সাথে পরিচিত করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এবার আর জেলা নয়, প্রাদেশিক নেতা আসবেন । গোপনে এসে ঢুকবেন ।একটা বৈঠকে মিলিত হবেন। গোপনে আবার বেরিয়ে যাবেন তিনি। যেহেতু প্রকাশ্য কমরেড,তাকে follow কোরতে পারলে গোপন কেন্দ্রের হদিস পাওয়া সহজ হবে। তাই অধিকতর সতর্কতা প্র্যয়োজন......বসন্ত বাবুর বাড়িটা ব্যবহার করা যাক।তার মেয়ে আর ভাইপো আমাদের সমর্থক। বসন্তবাবুকে তারাই টাইট দিতে পারবে জতটা প্রয়োজন। তাই বয়কট অভিযান শিথিল করা হলো। বাড়িতে পায়খানা এবং কুয়ো দুটোই আছে। ঘেরাও করা তাতে।বসন্ত বাবু গররাজি হবেন না,খুশীই হবেন। অথচ শিথিল হতেই সব যেন আলগা হয়ে না পরে।

কি্ন্ত দুপুর হতেই বাড়িটার আশেপাশে এত লোক কেন?প্রত্যেকের চোখে মুখে নানা রকম কৌতুহল। পাঙ্গা থেকে খোলার পাড় অবধি খবর চলে গেছে ছুটে এসেছেন জ্যোতির্ময়ের কাকা জিতেনবাবু। এই পর্বে যাঁর কোনই প্রয়োজন নেই। দেবেনের মামাকেও দেখেছি। সিঙ্গীমারীর লোকই তিনি। গনেশকুমারের বাড়ি বৈদ্যের বাজার। মিটিংয়ে তিনি আমন্ত্রিত । কিন্ত এত সকালে কেন? নির্দিষ্ট সময়ের এখনো দেড় দুঘণ্টা বাকি।চারটের আগে কৃষকদের দুটো বাজে না। সেখানে দুঘন্টা আগেই এসে হাজির!কৃষক মেয়েরাও আছেন তার মধ্যে। কি ব্যাপার নুটকুনদা?

1 comment:

সুশান্ত বর্মন said...

পড়ছি, আপনি আরও লিখুন। কুড়িগ্রামের অতীত ইতিহাস পড়তে পড়তে আনমনা হয়ে গিয়েছিলাম। ঐতিহাসিক চরিত্রগুলো জীবন্ত হয়ে চোখের সামনে ফুটে উঠেছিল।