10:33 AM 7/5/2008
জীবন দে ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কুচবিহার
জেলায় এক পরিচিত নাম,কিছু সময়ের জন্য রাজ্য
বিধান সভার সদস্য ছিলেন।"তুফানগঞ্জ সংবাদ"
শিরোনামে একটা পত্রিকা প্রকাশ করেছেন বেশ
কিছুদিন।তাঁর লেখা কয়েকটা গ্রন্থ আছে আমার
সংগ্রহে।বিগত খ্রিষ্টীয় শতাব্দির ত্রিশ-চল্লিশের
দশকের কুড়িগ্রামের কিছু কিছু ছবি স্বল্পভাবে
আভাসিত হয়ে আছে তারঁ কয়েকটা বই-এ।"আমার
জীবনে অক্টোবর" (প্রথম প্রকাশ মে,১৯৭৮-সীমান্ত
প্রকাশনী সংস্থা-তুফা নগঞ্জ,কুচবিহার)এই ধরনেরই
একটি বই। জীবন দে কিন্তু আদিতে কুড়িগ্রামের
অধিবাসী ছিলেন না। তাঁর বাড়ি ছিল ত ৎকালীন
ফরিদপুর জেলার দেওভোগ গ্রামে।কুড়িগ্রামে তাঁর
আসার কথা তিনি লিখেছেন এইভাবে-বেড়াতে
এসেছেন আমার ভগ্নীপতি নবকুমার দে।শহরের
লোক তিনি।দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন রেল আর
স্টীমারে... যাবে আমার সাথে? প্রশ্ন করেন
জামাইবাবু।শহরে থাকবে,লেখাপড়া করবে।ধরলা
নদীর পাড়ে কুড়িগ্রাম শহর। নদীর অপর পারেই
মনে হবে তুরা পাহাড়।কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা চলেও
পাহাড়ের নাগাল ধরতে পারবে না । নেবেন আমাকে
আপনার সাথে? নেব-জামাইবাবু রাজি...।
জীবন দে ফরিদপুর ছেড়ে জামাইবাবুর সাথে
কুড়িগ্রাম এলেন,বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন।তিনি
লিখছেন -সেদিনের কুড়িগ্রাম হাই স্কুল-এর কাছেই
ছিল মিশনারী ভবন। ছোটখাটো গির্জাও বলা যেতে
পারে।স্কুলে টিফিন পিরিয়ডে মেমসাহেবরা আসেন
আমাদের নিয়ে যেতে। প্রটেস্ট্যান্ট থেকে রোমান
ক্যাথলিক ধারা উপধারার মগজ ধোলাই চলতো
সেখানে। ভীড়ও নেহাৎ মন্দ নয়।
Saturday, July 5, 2008
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment