মানবেশ চৌধুরী এরপর লিখছেন-"গঙ্গারাম সান্যাল । ৯০ বছর বয়েস । জন্ম থেকে এখানে । হ্যাঁ মণীশ রায়ের নাম শুনেছেন । কালা লাহিড়ী, রবি লাহিড়ী, সুধীর মুখার্জিকে চিনতেন । ...৫০ এর মন্বন্তরের সময়কার কুড়িগ্রামের লঙ্গরখানার কথা মনে আছে । মণিকৃষ্ণ সেনের কথা শুনেছেন ।
ওঁর বাড়িতেই থাকেন তাঁর বোন আগমমনী ভট্টাচার্য । যাঁর বয়স ৭৫ । হ্যাঁ, মণীশ রায়কে চিনতেন । ওঁর মাকে দেখেন নি । নাম শুনেছেন । দুর্ভিক্ষের সময় তো ছোট । তবুও কিছু মনে আছে ।
Friday, September 18, 2009
Monday, September 7, 2009
BIRAJ MOHINI ROY K-URIGRAM
কিন্তু তাঁরা দুজনেই অসুস্থ । কথা বলতে পারলেন না।পরিক্রমার পথে পড়ল কুড়িগ্রামের সেই আমলের কমিউনিস্ট নেতা কালা ( অমরেন্দ্র )লাহিড়ী, রবি লাহিড়ীরা এক সময়ে যে বাড়িতে আশ্রিত ছিলেন,তৎকালীন কুড়িগ্রাম কংগ্রেস-এর সভাপতি,কিন্তু কমিউনিস্টদের প্রতি বিদ্বেষপুর্ণ ছলেন না সেই উকিল হরিদাস লাহিড়ীর বাড়ির চত্বর । রাস্তার ধারে বাড়ি । কিন্তু দোকান পাটের ভিড়ে এখন আর ঠাহর হয় না,এখানে কোন বাড়ি আছে ।
Friday, September 4, 2009
কুড়িগ্রাম কথা---kirigram memories Birajmohini devi
এলাম অনিল কুমার দাসের বাড়ি । তিনি কি বলতে পারবেন? বয়স তাঁর এখন ৭২ । না,তিনি বিরাজমোহিনী দেবীকে মনে করতে পারছেন না । বিরাজমোহিনী ছিলেন-পাবনার রাধানগরের প্রখ্যাত মজুমদার বাড়ির কন্যা । সেই মজুমদার কাছারি বাড়িতো কাছেই আছে । তার কর্ত্রী তখন কমলাবালা মজুমদার । হ্যাঁ, মণীশ রায়ের কথা মনে আছে। তিনি তো জীবন বীমার এজেন্ট ছিলেন । ওঁর স্ত্রী সরস্বতী দেবী -মাহিগঞ্জে বাপের বড়ি। চিনতেন তো তাঁকে খুব ভালোভাব । দিদি বলে ডাকতন । পাশে উকিল প্রতাপ চন্দ্র রায় ।তাঁর কন্যা তোরা রায়,পুত্র বাদল রায়ের কথা মনে আছে কমিউনিস্ট এঁরা ।
বলতে পারেন হয়তো গঙ্গারাম ান্যাল,শোভারজ্ঞন সরখেল ও প্রয়াত বুলু বক্সি,সঞ্জয় বক্সির বিধবা স্ত্রীগন । অতএব চল ঁদের বাড়ি ।
বলতে পারেন হয়তো গঙ্গারাম ান্যাল,শোভারজ্ঞন সরখেল ও প্রয়াত বুলু বক্সি,সঞ্জয় বক্সির বিধবা স্ত্রীগন । অতএব চল ঁদের বাড়ি ।
Thursday, September 3, 2009
কুড়িগ্রাম কথা---kirigram memories
মানবেশ চৌধুরী বিরাজমোহিনীর সন্ধানের প্রসঙ্গে লিখছেন .." হারুণ আর রসিদ লাল। লাল ভাই । একদা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা। উত্তর পঞ্চাশ বয়ঃক্রম । বিপর্যয় পরবর্তীকালে সলিডারিটি নামক এক এন জি ও'র কর্ণধার । সদ্য তাঁর যোগ্য সহধর্মিণী মারা গিয়েছেন । তাঁর বাড়িতে বিষাদের কালো মেঘ । তবুও তিনি কাজে কর্মে সম্পৃক্ত হয়ে আছেন ।আমরা তাঁর সাহায্য নেব ।
প্রথম বাক্যেই তাঁর আক্ষেপ-যাঁর সঙ্গে মণীশ রায়ের বাড়ির নিত্য উঠা বসা ছিল,হায় আপনারা দেরি করে ফেললেন--সেই কমরেড কালীপদ বর্মণ-যিনি ছিলেন ডাক্তার-কমিউনিস্ট পার্টির,পি আর সির ডাক্তার -মারা গেলেন বছর দু'এক আগে । জানলাম তাঁর কাছে,বদরগঞ্জের পাশের গ্রাম মোমিনপুর থেক তিনি পাকিস্তান আমলের প্রারম্ভেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এখন এপারের প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা মহঃ আমিনের সঙ্গে ।
শুরু হল আমাদের মাকে খোঁজা ।
প্রথম বাক্যেই তাঁর আক্ষেপ-যাঁর সঙ্গে মণীশ রায়ের বাড়ির নিত্য উঠা বসা ছিল,হায় আপনারা দেরি করে ফেললেন--সেই কমরেড কালীপদ বর্মণ-যিনি ছিলেন ডাক্তার-কমিউনিস্ট পার্টির,পি আর সির ডাক্তার -মারা গেলেন বছর দু'এক আগে । জানলাম তাঁর কাছে,বদরগঞ্জের পাশের গ্রাম মোমিনপুর থেক তিনি পাকিস্তান আমলের প্রারম্ভেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এখন এপারের প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা মহঃ আমিনের সঙ্গে ।
শুরু হল আমাদের মাকে খোঁজা ।
Wednesday, September 2, 2009
সুনিল রায়-বিরাজমোহিনী রায়
তিনি বিরাজমোহিনী দেবী। শ্রীচৌধুরী লিখছেন-গত শতাব্দীর প্রাক চল্লিশে কুড়িগ্রামের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক ছিলেন মনীশ রায় , বিরাজমোহিনী দেবী তাঁর মা । পাবনার রাধানগরের মজুমদার জমিদার বাড়ীর কন্যা ছিলেন তিনি। সেই জমিদারির একটা কাছারি ছিল কুড়িগ্রামে-মজুমদার কাছারি। বিরাজমোহিনী ছিলেন হৃদয়বতী মহিলা। ওঁর অপত্যস্নেহে, স্নেহছায়ায় জীবন দে ছিলেন বেশ কিছুদিন-একথা জীবন দে নিজেই তাঁকে বলেছেন বলে লিখছেন শ্রীচৌধুরী । তাছারা সুধীর মুখার্জীর লেখা থেকেও তথ্য সংগ্রহ করেছেন তিনি।
২০০৪ সালের শেষের দিকে মণীষ রায়-এর ভ্রাতুস্পুত্র শ্রী সুনিল রায় এই লেখকের সাথে যোগাযোগ করেন কুড়িগ্রাম সমপরকে কিছু তথ্যর জন্য। এ বিষয়ে পরে বিষদে আলোচনা করার ইচ্ছা রয়েছে।
Tuesday, September 1, 2009
কুড়িগ্রাম কথা---kirigram memories
শ্রী মানবেশ চৌধুরী ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এক পরিচিত বামপন্থী রাজনৈতিক নেতা। শুনেছি, তাঁর পূর্বপুরুষেরা কুড়িগ্রামে থাকতেন। ১৪১৪ বঙ্গাব্দে গণশক্তি পত্রিকার শারদ সংখ্যায় তাঁর একটা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে,'আবার শিকড়ের সন্ধানে'শিরোনামে। কুড়িগ্রাম,রাজারহাট,নিলফামারী,ডিমলা ঘুরে এসে পরিক্রমার বিবরণ দিয়েছেন তিনি।
তিনি লিখছেন-এখন তখনকার কুড়িগ্রাম নেই। নতুন কুড়িগ্রাম । খলিলগঞ্জ ।পুরনো কুড়িগ্রামের মূল শহরতো ১৯৫৪-এর ধরলা নদীর প্রলয়ঙ্করী বনায় নদীগর্ভে।
আমরা কুড়িগ্রামে এসেছি একজন মায়ের সন্ধানে।
তিনি লিখছেন-এখন তখনকার কুড়িগ্রাম নেই। নতুন কুড়িগ্রাম । খলিলগঞ্জ ।পুরনো কুড়িগ্রামের মূল শহরতো ১৯৫৪-এর ধরলা নদীর প্রলয়ঙ্করী বনায় নদীগর্ভে।
আমরা কুড়িগ্রামে এসেছি একজন মায়ের সন্ধানে।
Monday, August 31, 2009
কুড়িগ্রাম কথা---kirigram memories
অনেক দিন কিছুই লেখা হয়নি এখানে। একাধিকবার লেখার কথা ভেবেছি,নেটে-ও বসেছি,কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় নি। কাল থেকে কিছু লিখব।
Subscribe to:
Posts (Atom)