tag:blogger.com,1999:blog-70895836145913696532023-11-16T17:12:50.909+05:30যেন ভুলে না যাই Kurigram MemoriesASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.comBlogger26125tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-59408204811505580002009-09-18T18:57:00.003+05:302009-09-18T19:18:02.679+05:30সুনিল রায়-বিরাজমোহিনী রায়মানবেশ চৌধুরী এরপর লিখছেন-"গঙ্গারাম সান্যাল । ৯০ বছর বয়েস । জন্ম থেকে এখানে । হ্যাঁ মণীশ রায়ের নাম শুনেছেন । কালা লাহিড়ী, রবি লাহিড়ী, সুধীর মুখার্জিকে চিনতেন । ...৫০ এর মন্বন্তরের সময়কার কুড়িগ্রামের লঙ্গরখানার কথা মনে আছে । মণিকৃষ্ণ সেনের কথা শুনেছেন ।<br /> ওঁর বাড়িতেই থাকেন তাঁর বোন আগমমনী ভট্টাচার্য । যাঁর বয়স ৭৫ । হ্যাঁ, মণীশ রায়কে চিনতেন । ওঁর মাকে দেখেন নি । নাম শুনেছেন । দুর্ভিক্ষের সময় তো ছোট । তবুও কিছু মনে আছে ।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-84427472513936466512009-09-07T19:32:00.002+05:302009-09-07T19:51:22.597+05:30BIRAJ MOHINI ROY K-URIGRAMকিন্তু তাঁরা দুজনেই অসুস্থ । কথা বলতে পারলেন না।পরিক্রমার পথে পড়ল কুড়িগ্রামের সেই আমলের কমিউনিস্ট নেতা কালা ( অমরেন্দ্র )লাহিড়ী, রবি লাহিড়ীরা এক সময়ে যে বাড়িতে আশ্রিত ছিলেন,তৎকালীন কুড়িগ্রাম কংগ্রেস-এর সভাপতি,কিন্তু কমিউনিস্টদের প্রতি বিদ্বেষপুর্ণ ছলেন না সেই উকিল হরিদাস লাহিড়ীর বাড়ির চত্বর । রাস্তার ধারে বাড়ি । কিন্তু দোকান পাটের ভিড়ে এখন আর ঠাহর হয় না,এখানে কোন বাড়ি আছে ।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-23934212291012229212009-09-04T06:12:00.002+05:302009-09-04T06:48:49.703+05:30কুড়িগ্রাম কথা---kirigram memories Birajmohini deviএলাম অনিল কুমার দাসের বাড়ি । তিনি কি বলতে পারবেন? বয়স তাঁর এখন ৭২ । না,তিনি বিরাজমোহিনী দেবীকে মনে করতে পারছেন না । বিরাজমোহিনী ছিলেন-পাবনার রাধানগরের প্রখ্যাত মজুমদার বাড়ির কন্যা । সেই মজুমদার কাছারি বাড়িতো কাছেই আছে । তার কর্ত্রী তখন কমলাবালা মজুমদার । হ্যাঁ, মণীশ রায়ের কথা মনে আছে। তিনি তো জীবন বীমার এজেন্ট ছিলেন । ওঁর স্ত্রী সরস্বতী দেবী -মাহিগঞ্জে বাপের বড়ি। চিনতেন তো তাঁকে খুব ভালোভাব । দিদি বলে ডাকতন । পাশে উকিল প্রতাপ চন্দ্র রায় ।তাঁর কন্যা তোরা রায়,পুত্র বাদল রায়ের কথা মনে আছে কমিউনিস্ট এঁরা ।<br /> বলতে পারেন হয়তো গঙ্গারাম ান্যাল,শোভারজ্ঞন সরখেল ও প্রয়াত বুলু বক্সি,সঞ্জয় বক্সির বিধবা স্ত্রীগন । অতএব চল ঁদের বাড়ি ।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-74261390589760591492009-09-03T21:35:00.004+05:302009-09-03T22:12:53.751+05:30কুড়িগ্রাম কথা---kirigram memoriesমানবেশ চৌধুরী বিরাজমোহিনীর সন্ধানের প্রসঙ্গে লিখছেন .." হারুণ আর রসিদ লাল। লাল ভাই । একদা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা। উত্তর পঞ্চাশ বয়ঃক্রম । বিপর্যয় পরবর্তীকালে সলিডারিটি নামক এক এন জি ও'র কর্ণধার । সদ্য তাঁর যোগ্য সহধর্মিণী মারা গিয়েছেন । তাঁর বাড়িতে বিষাদের কালো মেঘ । তবুও তিনি কাজে কর্মে সম্পৃক্ত হয়ে আছেন ।আমরা তাঁর সাহায্য নেব ।<br /> প্রথম বাক্যেই তাঁর আক্ষেপ-যাঁর সঙ্গে মণীশ রায়ের বাড়ির নিত্য উঠা বসা ছিল,হায় আপনারা দেরি করে ফেললেন--সেই কমরেড কালীপদ বর্মণ-যিনি ছিলেন ডাক্তার-কমিউনিস্ট পার্টির,পি আর সির ডাক্তার -মারা গেলেন বছর দু'এক আগে । জানলাম তাঁর কাছে,বদরগঞ্জের পাশের গ্রাম মোমিনপুর থেক তিনি পাকিস্তান আমলের প্রারম্ভেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এখন এপারের প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা মহঃ আমিনের সঙ্গে ।<br /> শুরু হল আমাদের মাকে খোঁজা ।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-61116649636036868292009-09-02T20:45:00.003+05:302009-09-07T19:56:23.174+05:30সুনিল রায়-বিরাজমোহিনী রায়<a onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}" href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgoftVCg0wrjSG2lMSt-hPR9jB0wg-LdcbKSJ1HWKJJfrGHFqvEBls9vZHFbluqQW6zAedFM3dnyqi08C1lT-HAz2-pp3-4flTlx7AEQv32_WaaUXzEt3S5M5mjHrC_XGAZ2kzSAVrbS-0/s1600-h/scan0001.jpg"><img style="display:block; margin:0px auto 10px; text-align:center;cursor:pointer; cursor:hand;width: 320px; height: 206px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgoftVCg0wrjSG2lMSt-hPR9jB0wg-LdcbKSJ1HWKJJfrGHFqvEBls9vZHFbluqQW6zAedFM3dnyqi08C1lT-HAz2-pp3-4flTlx7AEQv32_WaaUXzEt3S5M5mjHrC_XGAZ2kzSAVrbS-0/s320/scan0001.jpg" border="0" alt=""id="BLOGGER_PHOTO_ID_5376900193581207522" /></a><br /><br />তিনি বিরাজমোহিনী দেবী। শ্রীচৌধুরী লিখছেন-গত শতাব্দীর প্রাক চল্লিশে কুড়িগ্রামের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক ছিলেন মনীশ রায় , বিরাজমোহিনী দেবী তাঁর মা । পাবনার রাধানগরের মজুমদার জমিদার বাড়ীর কন্যা ছিলেন তিনি। সেই জমিদারির একটা কাছারি ছিল কুড়িগ্রামে-মজুমদার কাছারি। বিরাজমোহিনী ছিলেন হৃদয়বতী মহিলা। ওঁর অপত্যস্নেহে, স্নেহছায়ায় জীবন দে ছিলেন বেশ কিছুদিন-একথা জীবন দে নিজেই তাঁকে বলেছেন বলে লিখছেন শ্রীচৌধুরী । তাছারা সুধীর মুখার্জীর লেখা থেকেও তথ্য সংগ্রহ করেছেন তিনি।<br /> ২০০৪ সালের শেষের দিকে মণীষ রায়-এর ভ্রাতুস্পুত্র শ্রী সুনিল রায় এই লেখকের সাথে যোগাযোগ করেন কুড়িগ্রাম সমপরকে কিছু তথ্যর জন্য। এ বিষয়ে পরে বিষদে আলোচনা করার ইচ্ছা রয়েছে।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-91625523779405728042009-09-01T19:19:00.003+05:302009-09-01T19:52:17.710+05:30কুড়িগ্রাম কথা---kirigram memoriesশ্রী মানবেশ চৌধুরী ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এক পরিচিত বামপন্থী রাজনৈতিক নেতা। শুনেছি, তাঁর পূর্বপুরুষেরা কুড়িগ্রামে থাকতেন। ১৪১৪ বঙ্গাব্দে গণশক্তি পত্রিকার শারদ সংখ্যায় তাঁর একটা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে,'আবার শিকড়ের সন্ধানে'শিরোনামে। কুড়িগ্রাম,রাজারহাট,নিলফামারী,ডিমলা ঘুরে এসে পরিক্রমার বিবরণ দিয়েছেন তিনি। <br />তিনি লিখছেন-এখন তখনকার কুড়িগ্রাম নেই। নতুন কুড়িগ্রাম । খলিলগঞ্জ ।পুরনো কুড়িগ্রামের মূল শহরতো ১৯৫৪-এর ধরলা নদীর প্রলয়ঙ্করী বনায় নদীগর্ভে।<br /><br /> আমরা কুড়িগ্রামে এসেছি একজন মায়ের সন্ধানে।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-29614526780777823172009-08-31T19:42:00.002+05:302009-08-31T19:50:29.775+05:30কুড়িগ্রাম কথা---kirigram memoriesঅনেক দিন কিছুই লেখা হয়নি এখানে। একাধিকবার লেখার কথা ভেবেছি,নেটে-ও বসেছি,কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় নি। কাল থেকে কিছু লিখব।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-68870533277387734732009-02-11T15:41:00.004+05:302009-02-11T16:14:45.955+05:30রবীন্দ্র প্রসাদ লাহিড়ী এবং-অমরেন্দ্র প্রসাদ লাহিড়ী (কালা লাহিড়ী)<a onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}" href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUwtwXGm5TSPGGWYHI9E2tQUVUPwGirGENYjitN6rme4INb49nm8B97hElvW3Jl7k-DJJVo2y-TkOYw2FRGkpNgh8N98YBLAxkqJlvHA0oozOel77sKi9djJU88WMThCXx2Mh0QUimJZg/s1600-h/rabi+lahiri.jpg"><img style="display:block; margin:0px auto 10px; text-align:center;cursor:pointer; cursor:hand;width: 190px; height: 320px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUwtwXGm5TSPGGWYHI9E2tQUVUPwGirGENYjitN6rme4INb49nm8B97hElvW3Jl7k-DJJVo2y-TkOYw2FRGkpNgh8N98YBLAxkqJlvHA0oozOel77sKi9djJU88WMThCXx2Mh0QUimJZg/s320/rabi+lahiri.jpg" border="0" alt=""id="BLOGGER_PHOTO_ID_5301487220836282562" /></a><br /><a onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}" href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgp8GEbj0duwhTmPBeA-BL9VTcsQVfezC4blClNCjYSUXgJQKbftSYjfhY5CpMt2jhg66jsmjLP2izhmwCla1LKGiD0UjW3Cga_57wdTgwTEwK5Gi7njeh9MX2vgZiemenMwNIWiIn6ubw/s1600-h/Untitled-1.jpg"><img style="display:block; margin:0px auto 10px; text-align:center;cursor:pointer; cursor:hand;width: 216px; height: 320px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgp8GEbj0duwhTmPBeA-BL9VTcsQVfezC4blClNCjYSUXgJQKbftSYjfhY5CpMt2jhg66jsmjLP2izhmwCla1LKGiD0UjW3Cga_57wdTgwTEwK5Gi7njeh9MX2vgZiemenMwNIWiIn6ubw/s320/Untitled-1.jpg" border="0" alt=""id="BLOGGER_PHOTO_ID_5301487217275254450" /></a><br /> দুই স্বাধীনতা সংগ্রামী,যাঁরা কুড়িগ্রামে একসময় জীবনের অনেকটা সময় অতিবাহিত করেছেন,দুইভাই আমার কাকা এবং বাবা।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-51117117676584685792009-02-02T19:42:00.002+05:302009-02-02T19:50:42.566+05:30Jibon Dey on Mantu Majumder কুড়িগ্রাম কথাজীবন দের কথা ঘুরে ফিরে এসেছে একাধিকবার আমার এই লেখায়।বছর খানেক আগে ফোনে কথা হয়েছিল তাঁর সাথে,বয়স হয়েছে যথেষ্ট,সংসার করেন নি,দুরারোগ্য মৃগী রোগে ভুগেছেন দীর্ঘকাল।কেন জানিনা, তাঁর লেখা পড়তে বেশ ভাল লাগে আমার-আন্তরিকতার ছোঁয়া পাতায় পাতায়।অনেক চরিত্র, অনেক ঘটনা,সাধারন ভাষা আর আদর্শের প্রতি অকৃতিম বিশ্বাস- সব মিলিয়ে আকর্ষনীয় লেখা।প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়েও অনুশীলিত বৈধগ্ধে নিজেকে পুষ্ট করেছেন,সেই সাথে আমাদেরও আনন্দ দিয়েছেন। জীবন দের লেখা থেকে আজ কিছু তুলে দেওয়া যাক। "...মন্টুদা কেমন আছেন,প্রশ্ন করলাম পশ্চিম দিনাজপুরের কমরেড লাহিড়ীকে। সেই ঘটনা থেকেই স্বামী স্ত্রী স্তব্ধ হয়ে গেছেন।সহজ তো নয়,একটি মাত্র সন্তান।মা গেছেন বিক্ষোভ মিছিলে,বাবা গেছেন ইসলামপুরে ডেপুটেশন লীড করতে।ছ'সাত বছরের মেয়ে,মা বাবাকে খুঁজতে খুঁজতে কখন যে পুকুরের জলে গিয়ে পরেছে,কেউ বলতে পারেনা।সন্ধান যখন মিলল,তখন আর সাড়া ছিলনা কোন।...।।মণ্টুদার ভাল নাম পরেশ চন্দ্র মজুমদার।রংপুরের কমরেড।অঢেল সম্পত্তিবান বিরাট বাড়ির ছেলে তিনি।দেশ ভাগের পর বিক্রয় করলে টাকা পেতেন প্রচুর।বিনিময় করলেও নেবার জন্য লোকের অভাব ঘটতোনা।বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চরম লগ্নে দেখেছি জেলা ন্যাপের সেটা অফিস,প্রকান্ড বাড়িটার একাংশ জুড়ে।মজুমদার পরিবারের নিকট আমরা নানা ভাবে কৃতজ্ঞ।"<br /> <br /> মন্টু মজুমদারের ভাল নাম পরেশ চন্দ্র মজুমদার।কলকাতার আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড প্রকাশিত শ্রী ধনঞ্জয় রায় সম্পাদিত <br />'তেভাগা আন্দোলন' নামে সংকলিত একটি গ্রন্থে পরেশ চন্দ্র মজুমদারের একটি লেখা আছে।আগ্রহী পাঠক বইটি পড়ে দেখতে পারেন।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,তেভাগার দাবি স্বতপ্রোত ভাবে এই পরিবার সর্বাগ্রে স্বীকার করে নিয়েয়েছিল।এর আগের একটা পোস্টে আক্ষেপ করেছিলাম, '''রঙ্গপুরের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব' নামে একটা বই পড়ছিলাম। ব্যক্তিত্বদের মধ্যে জীবন দে ,দীনেশ লাহিড়ী,মন্টু মজুমদার প্রভৃতিদের অনুপস্থিতি দুঃখজনক।"'<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-58483562532793388142008-12-21T08:59:00.001+05:302008-12-21T09:01:14.506+05:30কুড়ি্রাম কথা kurigram memories:04 PM 12/20/2008<br /> প্রখ্যাত ছাত্র নেতা বিশ্বনাথ মুখারজি।কত আর বয়স হবে তখন? পঁচিশ থেকে ত্রিশ।গায়ের রঙ সাহেব্দের ও হার মানাবার পক্ষে যথেষ্ঠ। তিনি মিটিং করলেন।খুশি মনে চলেও গে্লেন।কিন্ত চিন্তায় পড়লাম আম্রা।শেষ পর্যন্ত জানা গেল এটা ওই বসন্ত বাবুরই অব্দান। জোতদার হিসেবে এতদিন তাকে একঘরে করে রেখেছিলাম।আজ সুযোগ মিলতেই পজিশনটা ঝালিয়ে নিচ্ছেন তিনি। <br />এখন তো বুঝতে পারলি -তোদের পাতিপুতি নেতারা আমাকে সন্দেহ করতে পারে,কিন্তু খোদ রাশিয়ার খাতায় একটা নামই কেবল আছে ।সেটা আমার। সুতরাং রাশিয়ান কমরেড আমার বাসায় না উঠে পারে?<br />গনেশ কুমার দিশেহারা।নুটকুনদা উদভ্রান্ত। ভেতরে ভেতরে যে এতকিছু ঘটে গেছে আমার কাছে পর্যন্ত প্রকাশ করেনি সেটা। রাশিয়ার খাতায় বসন্ত বাবুর নাম না থাকলে স্বয়ং কমরেড স্ট্যালিন যাকে পাঠায়, বসন্তবাবুর বাড়িতে সে থাকবে খাবে কেন?সুতরাং তারাই সর্বহারা পার্টির আসল নেতা ,যা শুনে এসেছে এতদিন সবই বৃথা। অভ্যন্তরীন পার্টি জীবন পর্যন্ত তার আঘাতে টলটলায়মান।<br />পলাতক আসামীদের মধ্যে মুসলমান নেই বললই চলে। পুলিশ তা ভালভাবে জানে। সুতরাং মুসলিমা গ্রামের আশ্রয়গুলো বহুলাংশে নিরাপদ।উলিপুর গামি বড় রাস্তার পশ্চিমের গ্রামটা হিন্দু প্রধান।সিদ্ধান্ত মালতিবাড়ি। পূবেরটা মুস্লিম।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-46468449918210012372008-12-19T21:49:00.001+05:302008-12-19T21:53:30.793+05:30কুড়িগ্রাম কথা----hurigram memories6:33 PM 12/19/2008<br /><br /> এত লোক খবর পাওয়ার কারন?এর জন্য দায়ী কে? প্রশ্ন করলাম আমি।নুটনদা আমতা আমতা করলেন।মাথা চুল্কে বললেন -নতুন কেউ নাই।আমাদের লোকই সব। আশা,বস্ন্তবাবুর মেয়ে।সেই হয়ত কোন কোন মহিলাকে খবর দিয়ে থাকবে।তবে ওয়ারেণ্ট এর আসামী তো নয়,ভয়ের কি আছে?<br /> --কথাটা তা নয়।পারটীতে সিদ্ধান্ত ছিল এর বাইরে কেউ জানবে না। সেটা হটাৎ ভাঙ্গা হলো কেন? বেড়ার ফাঁক দিয়ে কূয়োর পাড়ে উঁকি দিচ্ছে মেয়েরা,ওই দেখো।এই নাকি তোমার গোপন কেন্দ্র?রাত্রির মিটীং যদি বাতিল হয়ে যায়,কে নেবে তার দায়িত্ব?নুটকুনদা আকাশ থেকে পড়লেন।না কমরেড,যেমন করেই হোক আমরা এটা সামলে নেবো।ভেবে চিনতে বললেন।দয়ামন ,হরেন্দ্রর কাছে খবর গেছে।লোকের দোষ নাই।এতকাল দুই চারখানা কমরেড যা দেখেছে সবই দেশী কমিউনিস্ট।জীবনে কোনদিন সাহেব কমিউনিস্ট দেখে নাই।তার উপর রাশিয়ান কমরেড!আর দেখতে পাবে কেউ,দুচার বছরের মধ্যে ?গায়ের কি রঙ! জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মেমসাহেবরা মদের গামলায় ওদের স্নান করায়।তাই না?"<br /> নুটকুনদা আরো কি সব বলেছিলেন আমার মনে নেই। মাথায় হাত দিয়ে আমি তখন বসে পড়েছি। একে সাহেব কমিউনিস্ট তাতে আবার রাশিয়ান!কার আবিস্কার এটা? ক্ষেতমজুর ভাগচাষীদের নয়। বিজাতীগন্ধ আছে গুজবটার মধ্যে!কৃষক কমরেডরাও কুপোকাত তার আঘাতে!<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-683142136701100672008-12-17T20:24:00.001+05:302008-12-17T20:27:27.965+05:30কুড়িগ্রম কথা kurigrammemories7:49 PM 12/17/2008<br /> রাশিয়ান কমরেড অধ্যায়ে জীবন দে লিখছেন--পারটির function তখন দ্বিবিধ।প্রকাশ্য ও গোপণ।মাঝে মাঝেই প্রকাশ্য কমরেডদের গ্রামে এনে গোপণ সংগঠনের সাথে পরিচিত করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এবার আর জেলা নয়, প্রাদেশিক নেতা আসবেন । গোপনে এসে ঢুকবেন ।একটা বৈঠকে মিলিত হবেন। গোপনে আবার বেরিয়ে যাবেন তিনি। যেহেতু প্রকাশ্য কমরেড,তাকে follow কোরতে পারলে গোপন কেন্দ্রের হদিস পাওয়া সহজ হবে। তাই অধিকতর সতর্কতা প্র্যয়োজন......বসন্ত বাবুর বাড়িটা ব্যবহার করা যাক।তার মেয়ে আর ভাইপো আমাদের সমর্থক। বসন্তবাবুকে তারাই টাইট দিতে পারবে জতটা প্রয়োজন। তাই বয়কট অভিযান শিথিল করা হলো। বাড়িতে পায়খানা এবং কুয়ো দুটোই আছে। ঘেরাও করা তাতে।বসন্ত বাবু গররাজি হবেন না,খুশীই হবেন। অথচ শিথিল হতেই সব যেন আলগা হয়ে না পরে। <br /> <br /> কি্ন্ত দুপুর হতেই বাড়িটার আশেপাশে এত লোক কেন?প্রত্যেকের চোখে মুখে নানা রকম কৌতুহল। পাঙ্গা থেকে খোলার পাড় অবধি খবর চলে গেছে ছুটে এসেছেন জ্যোতির্ময়ের কাকা জিতেনবাবু। এই পর্বে যাঁর কোনই প্রয়োজন নেই। দেবেনের মামাকেও দেখেছি। সিঙ্গীমারীর লোকই তিনি। গনেশকুমারের বাড়ি বৈদ্যের বাজার। মিটিংয়ে তিনি আমন্ত্রিত । কিন্ত এত সকালে কেন? নির্দিষ্ট সময়ের এখনো দেড় দুঘণ্টা বাকি।চারটের আগে কৃষকদের দুটো বাজে না। সেখানে দুঘন্টা আগেই এসে হাজির!কৃষক মেয়েরাও আছেন তার মধ্যে। কি ব্যাপার নুটকুনদা?<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-19615546340857580522008-12-16T20:15:00.002+05:302008-12-16T20:23:17.074+05:30কুড়িগ্রাম কথা- kurigram memoriesকুড়িগ্রাম প্রসঙ্গে জীবন দের কথা বলেছি একাধি্ক বার।তাঁর লেখায় বেশ মুনশিয়ানার পরিচয় পাওয়া যায়। ঘটনা ,চরিত্র,প্রেক্ষাপট,-সবই তিনি সুন্দর ভাবে ভুলে ধরেছেন।তাঁর লেখায় কুড়িগ্রামের অনেক ঘটনার পরিচয় মেলে। তাঁর আন্তরিক বিশ্বাস,সততা,ত্যাগ দুঃক্ষ,হতাশা , দেশমাতৃকার প্রতি শ্র্রদ্ধাবোধ,সাথে সোভিয়েত দেশের অকক্টোবর বিপ্লবের প্রতি মুগ্ধ চোখ -ছড়িয়ে আছে পাতায় পাতায়।এর সাথে কৌতুক রস উপরি পাওনা। সম্প্রতি রঙ্গপুর গবেষণা পরিষদ প্রকাশিত 'রঙ্গপুরের বরেণ্য ব্যক্তিত্ত' নামে একটা বই পড়ছিলাম। ব্যক্তিত্তদের মধ্যে জীবন দে ,দীনেশ লাহিড়ী,মন্টু মজুমদার প্রভৃতিদের অনুপস্থিতি দুঃখজনক।<br /><br /> আজ জীবন দের বই থেকে কিছু তুলে ধরছি।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-25396079043121362412008-09-05T22:38:00.003+05:302008-09-05T22:47:39.444+05:30কুড়িগ্রামের হাই ইংলিশ স্কুল থেকে অমরেন্দ্রপ্রসাদ লাহিড়ীকে ১৯২৭ খ্রীস্টাব্দ<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg97dfcloqNyw6q4H36dc38XN7lJfVFfyaCYe7V0C3pQ8okOSuRMp17TJdxlIIDlBmOzI9UtZFIaWGqjEQXkkY9Bw0JTUz9dmz3C__s8PzSIJ1mmyOADmvkjsAxHf_ZjyVqQvSpcH4lv-s/s1600-h/ama.jpg"><img id="BLOGGER_PHOTO_ID_5242587543023568594" style="DISPLAY: block; MARGIN: 0px auto 10px; CURSOR: hand; TEXT-ALIGN: center" alt="" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg97dfcloqNyw6q4H36dc38XN7lJfVFfyaCYe7V0C3pQ8okOSuRMp17TJdxlIIDlBmOzI9UtZFIaWGqjEQXkkY9Bw0JTUz9dmz3C__s8PzSIJ1mmyOADmvkjsAxHf_ZjyVqQvSpcH4lv-s/s320/ama.jpg" border="0" /></a><br /><div>আজ কেবলমাত্র এই ছবিটি post করলাম-ছবি কি কিছু কথা বলছে ?</div><br /><div></div><br /><div></div><div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-34344715133696435972008-08-28T20:07:00.002+05:302008-08-28T20:12:32.245+05:30কুড়িগ্রাম অন্য বই-এ5:51 PM 8/28/2008<br /><br />ইতিপূর্বে নানা প্রসঙ্গে সুধীর মুখার্জীর নাম উল্লেখ করেছি।এবার তাঁর লেখা একটা বই এর উল্লেখ করব। বইটার নাম 'রংপুর জেলার কৃষক আন্দোলনের ইতিহাস ও পারটি'।নৃপেন ঘোষের সাথে যৌথভাবে লেখা বইটি ১৯৮৫ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিলো।বইটির ভূমিকা লিখেছিলেন মুহম্মদ<br />আবদুল্লাহ রসুল।লেখকদ্বয় বক্তব্যে বলেছেন এটা কোন গভেষণামূলক বই না।সামনে লিখিত লিলপত্রের অভাবে কএকজনের স্মৃতি ভান্ডার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই কাজে তাঁরা হাত দিয়েছেন।এপার বাংলা ওপার বাংলার তৎকালীন অনেক নেতা সারা দিয়েছেন এবং তাঁদের যতখানি<br />মনে আছে লিখিত ভাবে দিয়েছেন ।যাঁরা স্মৃতি থেকে সাহায্য করেছেন তাঁদের মধ্যে বলরাম সাহার নাম প্রথমে উল্লেখ করা হয়েছে।বিশেষভাবে সাহায্য করেছেন বিজয়রায়,রথীন গাঙ্গুলী,বিমল ভৌমিক।রাণী মুখার্জী,মনিকৃষ্ণ সেন,শঙ্কর বোস,কছির উদ্দীন,আবুল মোকসেদ,হানিফ<br />ভূইয়া,হরিকান্ত সরকার এবং বিষাদু বর্মণ। <br /> কুড়িগ্রামের প্রসংগ যে ভাবে বইয়ে উল্লিখিত আছে,তা দেখা যেতে পারে। 'কুরিগ্রাম মহকুমার দক্সিনাঞ্চলে পাট লম্বা হয়,তার ফলন বেশি। কুরিগ্রাম মহকুমার খ্যান সম্প্রদায়ের কিছু অধিবাসী ছিলেন,<br /><br /> ছাত্র ফেডারেশন করতেন জীবন দে,ইন্দু মুখারজি,অনিল গোবিন্দ দেব, সুনিল মুখারজি,হৃষিকেশ ভট্টাচার্য। ১৯২১ এর আন্দোলনের যুগে বিদ্রোহী কবি নজরুল কএকবার কুরিগ্রামে ওয়াজে এসে বিপুল সমাবেশে জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়ে গেছেন, ব্রহ্মপুত্র নদের অপর তীরে তুরা পাহাড়ের (গারো পাহাড়) পাদদেশে রংপুর জেলার রৌমারি থানা।রৌমারি থানার আব্দুল মজিদ বলে একজন বিশিষ্ট নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আনে।সঙ্গে সঙ্গে<br />রৌমারি থানা,চিলমারী থানা, উলিপুর থানা,ও কুড়িগ্রাম থানা ভেঙ্গে লক্ষাধিক মানুষ অফুরন্ত স্রোতে মহকুমা শহরটি প্রায় অবরোধ করে বসে।সর্বত্র 'কি হয়, কি হয়' ভাব।জনতা ক্ষিপ্ত। শেষে মজিদ সাহেব কে ছেড়ে দেওয়া হয় ।জনসাধারণ মজিদ সাহেবকে নিয়ে বিজয় উল্লাসে ফিরে<br />যান।(এটা গান্ধিজীর অসহযোগ আন্দোলনের কালে মহাজনদের চালানী ধানের নৌকা আটক করার কারণে ঘটেছিল।)<br /><br />কুড়িগ্রামের কৃষক প্রজা সমিতির প্রথম সারির নেতা ছিলেন কাজী এমদাদুল হক।শ্রী মুরারি মোহন<br />দাস কাজী সাহেবের ঘনিশ্ষ্ঠ ছিলেন।তিনি কংগ্রেশের জনপ্রিয় কর্মি ছিলেন।সে সময়ে তাদের পথ<br />ছিল সংস্কার বাদি। আইনসভার নির্বাচন ছিল মুখ্য।এঁরা সাম্প্রদায়িক বিরোধী জাতীয়তাবাদী ছিলেন।<br /><br /> ১৯৩৭ সালে সুধীর মুখারজীকে রংপুরে সগৃহে অন্তরীণ করা হলে তিনি কুড়িগ্রামে কৃষক আন্দোলনের কাজ আরম্ভ করেন। সুধির মুখার্জী মহকুমায় কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলেন।তিনি মহকুমা ও শহর কংগ্রেসের সম্পাদক ছিলেন।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com3tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-7890410794313440592008-08-24T21:52:00.003+05:302008-08-24T22:00:31.801+05:30Kurigram memories কমিউনিস্ট পার্টি1:11 PM 8/24/2008<br /><br />অমরেন্দ্র প্রসাদ লাহিড়ী ওরফে কালা লাহিড়ী তাঁর দিনলিপি শেষ করেছেন এইভাবে:-<br />" বর্তমানে ১৯৮৪ সালে সুধীর মুখোপাধ্যায় ব্যান্ডেলের নিকট কাজিপাড়ায় থাকেন এবং ঐ অঞ্চলের C.P.M. এর একজন প্রতিনিধি স্থানীয় নেতা। যতদুর জানি শ্রীমণীশ রায় সোদপুরে আছে এবং C.P.M.দলভুক্ত। রবি লাহিড়ী সাংসারিক জীবনে অকৃতদার, পার্টিভাগের পর সে C.P.I তে থাকিয়া প্রাদেশিক দপ্তরে সর্বসময়ের কর্মী হিসাবে থাকে। পরে A.I.C.P.তে যোগ দেয়। শ্রীগুহর কোন খবর আর জানিনা। তাঁহার মত নিরহঙ্কারী এবং কমরেডসুলভ ব্যবহারের কথা এখনও স্মরণ হয়া তিনি যখন সভ্যপদ লাভ করেন তখন তিনি স্থানীয় একটি সংস্কৃত টোলে সংস্কৃত পাঠ লইয়া পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হইতে ছিলেন। আমি ১৯৬৭ সন পর্যন্ত C.P.I.এর সভ্য ছিলাম। পরে অন্যত্র চাকুরী করিতে হওয়ায় এবং পারিবারিক এবং স্বাস্থের কারণে সভ্যপদ প্রত্যাহার করিয়া লই।"<br />প্রয়াত সরোজ মুখার্জী স্মৃতি ও তাঁর কাছে যে সব দলিল ও কাগজপত্র ছিল তার ভিত্তিতে অভিবক্ত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি গড়ার বিষয়ে অতীতের ঘটনা লিখেছেন।কমিউনিস্ট পার্টিতে ১৯৩৮-৩৯ সাল থেকে গোপণ যুগে রঙ্গপুর জেলায় মহিলা কমরেডদের আসার উল্লেখ করার প্রসঙ্গে তিনি 'কুড়িগ্রামের রানী মুখার্জী(সুধীর মুখার্জীর স্ত্রী),কিরণ চৌধুরী,মণীষ রায়ের মা,অনুপমা চক্রবর্তী,আশা চক্রবর্তী,অন্নপূর্ণা দেবী,সফলা চক্রবর্তী,(কাঁঠাল বাড়ী ও সিংহ বাড়ি এলাকা ) র নাম লিপিবদ্ধ করেছেন। কুড়িগ্রামের মহিলা আত্মরক্ষা সমিতির প্রথম সম্পাদিকা হিসাবে নাজীর হোসেন ফদকার সাহেবের স্ত্রী'র নাম উল্লেখ করেছেন।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-49433713723313624562008-08-16T13:53:00.005+05:302008-08-16T14:06:00.484+05:30কুড়িগ্রামে বৈপ্লবীক সচেতনতা -Kurigram-Political consciousness9:29 PM 8/15/2008<br />" কমিউনিস্ট কে? প্রশ্ন করলেন রবিদা। এবার ক্লাশে তিনিই শিক্ষক। যেদিন কেঊ সভ্যপদ লাভ করবে - সেদিন তার যে সম্পত্তি থাকবে,<br />কোনোদিনই তা বাড়বে না। বরং কমবে দিনের পর দিন। এমনকি দেশে সমাজতন্ত্র এলেও কমিউনিস্টদের দাবী মিটবে সবার শেষে।<br />প্রথমেই উতরে যাবে মধ্যবিত্ত, তারপর কৃষক, সবশেষে শ্রমিক, শ্রমিকের পরে মিটবে কমিউনিস্টদের অভাব আর অভিযোগ। কেননা<br />শ্রমিক শ্রেণীরও নেতা হলো কমিউনিস্ট ও তার পার্টী। শ্রমিকের পূর্বেই তাদের দাবী পূরণ হয়ে গেলে শ্রমিকশ্রেণী তাকে নেতা বলে<br />মানবে কেন? অতএব নিজস্ব অভাব অভিযোগ বলতে আমাদের কিছু নেই। মনে থাকবে?<br />থাকবে। জোর গলাতেই আমরা সেদিন জবাব দিয়েছিলাম।<br />এবার আর কুড়িগ্রাম নয়,রংপুর শহরেই আমাদের গোপন ক্লাশে ডাক পড়লো।শিক্ষক স্বয়ং মনিদা।কমরেড মনিকৃষ্ণ সেন।অন্ধকারেই<br />পথ হাতড়ে এসে হাজির হলাম তাঁর বাড়ি,মুলাটোলে। এম-এ,বি-এল উকিল তিনি। তবে সিভিল বা ক্রিমিনাল এ্যাফেয়ার্স<br />নিয়ে প্র্যাকটিসের ধারে কাছেও নেই। আজীবনের স্বাধীণতা সংগ্রামী। বে'থাও করেন নি।<br />.....মনি দা আমাদের কৌতুহল হাজারগুণ বাড়িয়ে দিলেন। পার্টি বে-আইনি। তবু কংগ্রেসে থেকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন আমরা সংগঠন করছি। রাতারাতি দরকর পড়লেই কুড়িগ্রাম থেকে পায়ে<br />হেঁটে কখনও লালমনিরহাট, নয়তো হাজির হলাম চিলমারী। আঠারো থেকে বিশ মাইল যার দূরত্ব।"<br />কুড়িগ্রামে সেই সময় শুধুই কমুইনিস্ট পার্টির লোকাল কমিটি গড়ে থেমে থাকেনি, এর পাশাপাশি পার্টি সদস্যদেরও রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত ক্লাশের আয়োজন করা হতো। জীবন দের লেখা থেকে নেওয়া উপরোক্ত্ এই উধৃতাংশ এই কথাই প্রমাণ করে। অসংখ্য বিপ্লবী, কৃষক, শ্রমিক, নরনারী, ছাত্র-যুবকের অক্লান্ত পরিশ্রমে ও অসীম ত্যাগ স্বীকারের মধ্য দিয়ে ভারতের কমিউনিস্ট সংগঠন ও আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। ১৯৩৭ সালেই কুড়িগ্রামেথানা, জেলখানা সমেত শহরময় গোপনে পোস্টার লাগানো হয়েছিল। ১৯৩৮ সালে নভেম্বর দিবস পালন উপলক্ষে কুড়িগ্রাম শহরে<br />কালীবাড়ির পাশে আধাগোপন, আধাপ্রকাশ্য জনসভা আয়োজিত হয়েছিল। বিদেশী শোষন, খাজনা ও ট্যাক্স বন্ধের প্রয়োজনীয়তার কথা বক্তারা সেখানে শ্রোতাদের সামনে উত্থাপন করলেন ও জালিওয়ালানাবাগ হত্যাকান্ড এবং রুশ বিপ্লবের কাহিনী স্মরণ করিয়ে দিলেন। এর ফলে সুধীর মুখার্জী, মনোরঞ্জন গুহ এবং জীবন দের বিরূদ্ধে রাজদ্রোহমূলক বক্তৃতার অভিযোগে মামলা হয়। জীবন দের বয়স তখন সবেমাত্র বারো বছর। এটাই ছিল অক্টোবর বিপ্লবের প্রথম প্রকাশ্য অনুষ্ঠান। এই ঘটনা আমাদের- সমগ্র বঙ্গবাসীদের গর্ববোধ ও শ্রদ্ধার উদ্রেক করে।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-43277401764588302392008-08-16T00:48:00.002+05:302008-08-16T00:53:59.864+05:30Kurigram political activities10:38 AM 8/15/2008<br />ইতিপূর্বে কুড়িগ্রাম মহকুমায় কমিউনিস্ট পার্টির সংগঠন কিভাবে গড়ে উঠেছিলো, এবং কারা তার সাথে জড়িত হয়েছিলো, সে কথা সংক্ষেপে বলেছি। এই পর্যায়ে দুটি গুরুত্ত পূর্ণ তথ্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।<br /><br />(১)অমরেন্দ্র প্রসাদ লাহিড়ী ওরফে কালা লাহিড়ী (আমার পিতা)<br />সম্পর্কে <br /> :- 1. In 1935 interned under B.C.L.A.Act,at village rahmangram ,P.S.Shahajadpur,Dist.Pabna from 15.4.1935 to 10.11.1935 (1900 AD) (Ref: I.B./ CID Index Pabna sl.No.7560 Rungpur Sl.8070 (8670?).<br /> 2. In the year 1940 externed from Rungpur district for a period of six months under the Defence of India Act by the then D.M.Rungpur. On the expiry of the above externment period an Internment Order under the the Defence of India Act , was servrd restricting movement within a limited area of Kurigram Sub-division Town of Rungpur which lasted upto 1943.<br /> 3. Editorial comments regarding the internment order under under D.I.Act, were<br />published in Jugantar and other dailies <br /><br /> এই তথ্য থেকে প্রতীয়মান হয় কুড়িগ্রাম মহকুমা ইংরেজ যুগে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের এক উর্বর ভূমি হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছিল।<br /><br /> আর একটি তথ্যের প্রতি নজর দেওয়া যাক। জীবন দে-র কথা পূর্বে বলেছিলাম।তিনি পঃবঃ বিধান সভার সদস্য ছিলেন,আমন্ত্রিত<br />হয়ে সোভিয়েত দেশ সফর করেছিলেন, কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের খুব কাছাকাছি ছিলেন একটা সময়ে। তিনি লিখছেন:- সোভিয়েত ভূমিতে ফ্যাসিস্ত হানার প্রতিবাদ এবং সোভিয়েত বাসীদের প্রতি সহানুভূতি ও একাত্মতার প্রতীক হিসেবে মাথাপ্রতি এক পয়সা হিসাবে আমাদের কমরেডরা তিন টাকা ষাট পয়সা চাঁদা সংগ্রহ করলেন। মনিঅর্ডার যোগে নাম মাত্র ঐ টাকা পাঠানো হলো লন্ডনের সোভিয়েত দূতাবাসে । কমরেড মেইস্কি ছিলেন দূতাবাসের প্রধান। টাকার প্রাপ্তি স্বীকার করে তিনি যে অভিনন্দন বার্তা জ্ঞাপন করলেন, আজ অবধি আমরা তা ভুলতে পারিনি। গর্বে আনন্দে আমাদের পার্টী জীবন ধন্য হলো তাতে। কমরেড অমর লাহিড়ী ওরফে কালাদার অবদানটাই ছিল এই প্রসঙ্গে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-34563894820073025642008-08-05T19:57:00.002+05:302008-08-05T20:07:32.418+05:30যেন ভুলে না যাই ...কমিউনিস্ট পার্টি গঠন.Kurigram Communistsঅমরেন্দ্র প্রসাদ লাহিড়ী ওরফে কালা লাহিড়ী তাঁর দিনলিপিতে লিখছেনঃ-"১৯৩৮ সনে ৫৭বৎসর বয়সে পিতার মৃত্যুর পর যে যাহার মত চলিতে শুরু করিলাম।আমি পুনরায় কুড়িগ্রামে গেলাম এবং পূর্বতন বৈপ্লবীক সমিতির "দাদাদের" সহিত মিলিত হইলাম। ঐ সময়ে তাঁহারা সাম্যবাদী বধারায় আকৃষ্ট।আমরাও প্রায় অন্ধভাবে প্রথমে তাঁহাদের অনুসরণ করিতাম।পরে অধ্যয়নের মধ্য দিয়া আমরাও সাম্যবাদী ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হইলাম। প্রকাশ্যে<br />আমরা কংগ্রেস সংগঠনের মধ্য দিয়া গ্রামাঞ্চলে আমাদের রাজনৈতিক কাজকর্ম করিতেছিলাম। ১৯৩৯ সনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। উহার কিছুদিন পূর্বে বা পরে আমরা কমিউনিস্ট পার্টির সভ্যপদ পাই।কুড়িগ্রাম মহকুমায় আমরা নিম্নলিখিত মাত্র ৫ জন সভ্যপদ প্রাপ্ত হইলাম।১।সুধীর মুখোপাধ্যায় ২।মনীশ রায় ৩।রবি লাহিড়ী ৪।মনোরঞ্জন গুহ এবং ৫। আমি ।" <br /> কুড়িগ্রামের এই "দাদা"দের পরিচয় দিনলিপিতে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা নেই।তবে,পারিপার্শিক সাক্ষে অনুমান করা যেতে পারে, সুধীর পাধ্যায় এবং মনীশ রায় অন্যতম দুই 'দাদা'।সেই সময়ে কুড়িগ্রাম মহকুমা সহ সদরের কালীগঞ্জ থানা নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টির লোকাল কমিটি ছিল।সুধীর মুখোপাধ্যায় লিখছেন:"....-১৯৩৭ সালের শেষভাগে আন্দামান প্রত্যাগত পার্টিনেতা দেবকুমার দাস প্রাদেশিক কমিটির নিকট থেকে একটি নির্দেশমূলক চিঠি নিয়ে আসেন।তদনুসারে অবনী বাগচী ,শচীন ঘোষ,শিবদাস লাহিড়ী বিনয় বাগচী ও সুরেশ রায়চৌধুরীকে প্রার্থী সভ্যপদ দিয়ে একটি অস্থায়ী জেলা কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয়।১৯৩৮ সালে জেলা সাংগঠনিক কমিটি গঠিত হয়।...." সরোজ মুখোপাধ্যায় ও তাঁর " ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ও আমরা"(ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রাইভেট লি,১২-বঙ্কিম র্জি স্ট্রিট,কলকাতা-৭০০০৭৩) গ্রন্থে রঙ্গপুর জেলায় কমিউনিস্ট পার্টির সংগঠনের প্রাতিষ্ঠানিক সৃষ্টি সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে লিখেছেন " কুড়িগ্রামে পার্টি গড়ে ওঠে সুধীর মুখারজিকে কেন্দ্র করে। <br /> দেখা যাচ্ছে বিপ্লবীদের একাংশ দেশকে ব্রিটীশ শাসন থেকে মুক্ত করার জন্য ক্রমশঃ শ্রমিক-কৃষকের মিলিত সংগ্রামের লক্ষে কমিউনিস্ট পার্টির পতাকা তলে সংঠিত হচ্ছেন। একই সাথে তাঁরা কংগ্রেস সংগঠন পুনরুজ্জীবিত করতে ব্রতী হন। সারা ভারত কংগ্রেসের লক্ষ্ণৌ অধিবেশনে গৃহীত গণসংযোগ কার্যক্রম এবং স্বতন্ত্র কৃষক সংগঠনের কাজ সমন্বয় করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হোত।প্রায় সব কর্মীই কংগ্রেসের জেলা,মহকুমা,বা স্থানীয়<br />নেতৃত্বের পদে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন । সুধীর মুখার্জী এক সময়ে কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সম্পাদক পরে হন।'কিছুদিন পরে তিনি প্রাদেশিক সংগঠক হলে মণিকৃষ্ণ সেন জেলা সম্পাদক হন।এক সময়ে দেখা যায় একই ব্যক্তি একাধারে কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক আবার একই সাথে তিনি কমিউনিস্ট পার্টিরও জেলা সম্পাদক।উদাহরণ হিসাবে মণিকৃষ্ণ সেন -এর নাম উল্লেখ করা যেতে পারে।তিনি একটা পর্বে রঙ্গপুর জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক ছিলেন, আবার, একই সাথে কমিউনিস্ট পার্টিরও সম্পাদক ছিলেন।এই প্রসঙ্গে এটা স্মরণে রাখতে হবে যে, কমিউনিস্ট পার্টি তখন নিষিদ্ধ ছিল এবং সেই পার্টি গোপনে করতে হতো।গোপনে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় প্লবীদের পক্ষে কমিউনিস্ট পার্টি করা সহজতর হতো-এই অনুমান করা অযৌক্তিক নয় বলে মনে হয়।<br /> প্রকাশ্য ও গোপন কাজের সমন্বয় ও সংগঠন আলোচনা করার প্রসঙ্গে সুধীর মুখার্জী লিখছেন:-"পার্টির বে-আইনী ও গোপন যুগের গণ-আন্দোলন ও তার সাফল্য নির্ভর করে প্রকাশ্য ও গোপন,আইনী ও বে-আইনী কাজের সমন্বয়ের উপর। এ বিষয়ে জেলা স্তর থেকে লোকাল ও<br />সেল স্তর পর্যন্ত সচেতন প্রচেষ্টা ছিল।সে সময় জেলা পার্টির অন্যতম নেতা মণিকৃষ্ণ সেন, জেলা কৃষক সমিতির নেতা দীনেশ লাহিড়ী,পার্টি উকিল মণি মজুমদার, পার্টি নেতা বিভূতি লাহিড়ী(ভাদু লাহিড়ী)ছাত্র নেতা বিজলী লাহিড়ী,গোপাল সেন প্রভৃতি গোপন কাজের সাথে সু-সংহত ভাবে পার্টি নেতৃত্বে প্রকাশ্য কাজ পরিচালনা করতেন।নীলফামারীতে বিমল ভৌমিক,ক্ষিতিশ দাস,বলরাম সাহা,গোপাল আজিজ। কুড়িগ্রামের রবি লাহিড়ী,কালা লাহিড়ী,বদরগঞ্জের শঙ্কর রায়,বিজয় রায়,গাইবান্ধার নির্মল বর্মন,পানু পাল,গণেশ ধর,ভূপেশ রায়, ছাত্র কর্মী চিনু প্রভৃতি দায়িত্ব পালন করতেন।লালমণির হাটে ডাঃসূর্য কান্ত বিশ্বাস,ডাঃ সিতাংশু সেন দায়িত্বে ছিলেন।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-32006509977131961072008-07-31T13:04:00.002+05:302008-07-31T13:12:13.685+05:30কুড়িগ্রাম কথা বিপ্লবী প্রেক্ষাপট Kurigram-Revolutionary Tradition12:41 AM 7/31/2008ইতিপুর্বে কুড়িগ্রামে যুগান্তর ও অনুশীলন সমিতির উপস্থিতির কথা উল্লখ করেছি।দেশকে স্বাধীন করা উভয়ের লক্ষ্য হলেও এই দুই গোষ্ঠির পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রিত হত তাদের প্রাদেশিক নেতৃত্ত্বের মর্জিমাফিক,তৃণমূল স্তরের কর্মীদের মতামত, আশা-আকাংখা উপেক্ষা করেই। এই প্রসঙ্গে অবনী লাহিড়ীর "তিরিশ চল্লিশের বাংলাঃ রাজনীতি ও আন্দোলনের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে"(সাক্ষাৎকার ও সম্পাদনা রণজিৎ দাশগুপ্ত, প্রকাশক-সেরিবান) বইটি থেকে একটি ঘটনা উদ্ধৃত করা যেতে পারে-অবনী লাহিড়ী (ফরিদপুর -কোরকদী গ্রাম):"একদিন দেখলাম ছ-জন বন্দীকে জেলে এনে এক এক করে আইসোলেশন সেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হল। যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল লক্ষ্য করলাম, ছ-জনের মধ্যে তিন-চার জনের হাতে মাথায় ব্যান্ডেজ। এঁরা আসতেই সব বন্দীদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ একটা চাঞ্চল্য দেখা গেল। যুগান্তর পার্টির যাঁরা জেলের ভিতর ছিলেন ,তারা যে ভাবে হাত তুলে ঐ ছ-জনের সাথে কথা বললেন তাতে আমরা বুঝলাম এঁরাও যুগান্তর পার্টির বিপ্লবী। শুনলাম,মাদারিপুর সাব- ডিভিশন থেকে এসেছেন।এঁদের মধ্যে একজন আমাকে প্রচন্ডভাবে আকর্ষণ করলেন।তিনি হলেন মনোরজ্ঞন ভট্টাচার্য।সুন্দর সাস্থ্য!অসাধারণ গানের গলা। সেলের ভিতরে উদাত্ত গলায় তিনি নানা গান গাইতেন,বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথের 'একলা চলো রে' গানটির কথা আমার এখনো কানে বাজে।আমরা ওয়ার্ডের জানালার কাছে দাঁড়িয়ে ওঁর গান শুনতাম। বিচার চলতে থাকল।একদিন শুনলাম,রায় বেরোবে।সেদিন ওঁদের সবাইকে কোর্টে নিয়ে গেল।যুগান্তরের নেতারা সারাদিন উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন কোর্টের রায় কি হয় জানার জন্য।সন্ধ্যের মুখে শুনলাম,সবাই আবার জেলগেটে ফিরে এসেছেন।শুনলাম তাঁদের মামলায় রায় বার হয়ে গিয়েছে।সবাইকে আবার জেলের ভিতর ফিরিয়ে আনা হল।অবাক হয়ে দেখলাম ,আমরা যে পোষাক পরে আছি-অর্থাৎ,জেলের সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের পোষাক-জাঙ্গিয়া-কুর্তা,এঁদের সবাই তাই পরে আছেন-কিন্তু,শুধু একজনের পায়েই বারফেটার্স্ (ডান্ডাবেড়ি)।তিনি মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য। আমরা জানতাম ,বারফেটার্স্ যাদের পরানো হয় ,রায় বেরোনোর পরে তাদের বিশেষ কোন কারণে আলাদা করে রাখতে হয়-চলাফেরা যতটা সম্ভব বন্ধ করে দেওয়া হয়। কি সাজা হয়েছে ওঁর?ওঁরা ঢোকার পরে ওঁদের বন্ধু যাঁরা ছিলেন তাঁরা চিৎকার করে জিজ্ঞাসা করলেন-"কোর্টের রায় কি হল?" সবাই চুপ। শুধু মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য বললেন-"সবারই সাজা হয়েছে, আমিই শুধু খালাস। বাড়ি যাব।" কেউই ঠিক বুঝতে পারলেন না, আবার জিজ্ঞেস কররেন- "কিহল?" তিনি আবার উত্তর দিলেন-"বললাম তো আমি খালাস। আমি এবার বাড়ি যাবো।তোমরা জেলে পচে মরো।"সবাইকে একে একে সেলে ঢোকানো হল। আর বাঁদিকের সবচেয়ে কোণের যে সেল-যেটাকে বলা হল 'কনডেমড সেল', সেইটাতে ঢোকানো হল মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। বুঝলাম তাঁর ফাঁসির হুকুম হয়েছে। কিন্তু সেলে ঢোকানোর পরেই আমরা ওপর থেকে আশ্চর্য হয়ে দেখলাম, মানুষটা সেলের দরজায় মুখ লাগিয়ে রবীন্দ্রনাথের গান গাইছেন-সেই উদাত্ত গলায়। যেন সত্যিই তিনি খালাস। একটা ১৫/১৬ বছরের স্কুল ছাত্রের মনে এই ঘটনার কি রকম প্রতিক্রিয়া হয়েছিল এখন ঠিক আন্দাজ করা যাবে না। কিন্তু মুশকিল ছিল কি-তিনি ছিলেন যুগান্তরের লোক, আর আমরা অনুশীলনের। আমরা যদি তাঁর ব্যাপারে বেশি উৎসাহ দেখাই, তাহলে অনুশীলনের নেতারা অসন্তুষ্ট হবেন। সে জন্য আমরা নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা করলেও,প্রকাশ করতাম না-পাছে নেতারা বলেন, এদের আনুগত্য সন্দেহজনক।"অবিভক্ত বাংলার কৃষক আন্দোলনের প্রথম সারির কমিউনিস্ট সংগঠক অবনী লাহিড়ী তাঁর উপরোক্ত পুস্তকে কুড়িগ্রামের কোন প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি, সম্ভবতঃ এই কারনে যে তাঁর দায়িত্ব ছিল দিনাজপুর এবং পাবনা জেলায় কৃষক আন্দোলন সংগঠিত করা। তা সত্বেও এই দীর্ঘ উদ্ধৃতির অবতারণা এই কারণে যে, এটা তৎকালীন কুড়িগ্রামের অনুশীলন ও যুগান্তরের পারস্পরিক সম্পর্ককে বুঝতে সহায়ক হবে। একইসঙ্গে তৎকালীন যুগের মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের মত অনেক অখ্যাত বিপ্লবীর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করাও আরেকটি কারণ।এই প্রসঙ্গে আরো উল্লেখ্য যে, বিগত শতাব্দীর প্রথমদিকে কুড়িগ্রামে অনুশীলনের প্রাধান্য থাকলেও, তিরিশের দশকের পর থেকে ওখানে যুগান্তর দলই প্রধান শক্তিতে পরিণত হয়।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com2tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-13973645418862974792008-07-19T12:37:00.002+05:302008-07-19T12:43:30.245+05:30কুড়িগ্রাম.............বিপ্লবী আন্দোলন........কৈবর্ত বিদ্রোহ ,সন্ন্যাসী -ফকির বিদ্রোহ, রায়ত বিদ্রোহ প্রভৃতি গন আন্দোলনের ইতিহাসে অবিভক্ত ভারতের রংপুর জেলার এক বিশেষ ভুমিকা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে। তুলনামুলক আধুনিক কালে ব্রিটিশ বিরোধী বিভিন্ন সংগ্রামেও রংপুর জেলার অবদান কম নয়।রংপুর শহরে কংগ্রেস এর শক্তিশালী সংগঠন এবং কর্মকান্ড ছিল।কুড়িগ্রাম মহকুমা,উলিপুর,নুনখাওয়া প্রভৃতি স্থানে কংগ্রেসের অনেক নেতা ও কর্মীরা আন্দোলন পরিচালনা করতেন।<br /> উনবিংশ শতাব্দীর শেষে ও বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে বাংলার মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মধ্যে বেকার সমস্যা তীব্র ভাবে দেখা দেয়। মধ্যবিত্ত শিক্ষিত সমাজের বিভিন্ন অংশ -ছাত্র,শিক্ষক ,উকিল,ব্যারিস্টার,কেরানি, সকলেই ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হন।এঁদের এক অংশ অবশ্য কংগ্রেস পরিচালিত নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের ঘেরাটোপে আবদ্ধ হয়ে থাকলেন না-কেবল মাত্র বিলাতি পন্য বর্জনের আন্দোলনে নিজেদের সীমাবধ্য রাখলেন না,বিলাতি শাসন ও বর্জন করার তাগিদ অনুভব করলেন।<br />এই প্রেক্ষিতে বাঙ্গলায় শুরু হল এক বিশেষ ধরনের আন্দোলন যাকে প্রশাসন সন্ত্রাসবাদি আন্দোলনের অভিধায় অভিহিত করল।ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রগতিশীল এবং মার্কস বাদি বুদ্ধিজীবী ঐতিহাসিক নরহরি কবিরাজ এর মতে কংগ্রেসের আন্দোলন থেকে ভিন্নধর্মি হলেও এই আন্দোলন টি ছিল জাতীয় মুক্তিআন্দোলনের-ই এক বিশেষ ধারা।<br /> কুড়িগ্রামেও যে এই বিপ্লববাদীরা যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন তার প্রমান রয়ে গেছে প্রশাসনের বিভিন্ন গোপন নথীপত্রে,ইতস্তত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিপ্লবীদের লেখায়।এই রকম-ই এক বিপ্লবী ছিলেন সুধীর মুখার্জী। যদিও তাঁর জন্ম স্থান ছিল পূর্বতন ময়মনসিংহ জেলার টাঙ্গাইলে,তাঁর শৈশব ও বিদ্যালয় জীবন কেটেছে কুড়িগ্রাম।১৯২১ সালের বিপুল জাতীয় অভ্যুথ্থান তাঁর জীবনের উপর গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র থাকাকালীন তিনি বিপ্লবীদলের কিরণদাস,জগদীশ মজুমদার প্রমুখের সংস্পর্শে আসেন।অনুশীলন সমিতির ত`ৎকালীন ছাত্রযুবনেতা বীরেন দাসগুপ্তের সাথে তাঁর ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠে।১৯২৮ সালে ম্যাট্রিক পাশ করার পর তিনি ঢাকায় চলে যান ।সেখানে শ্রীসঙ্ঘের পার্টির ছেলেদের সাথে পরিচয় হয় এবং প্রয়াত অনিল রায়ের সংস্পর্শে আসেন।পরবর্তি সময়ে তিনি কাশীতে পড়তে যান।পুনরায় তিনি কুড়িগ্রামে ফিরে আসেন এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করেন । এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে যে কুড়িগ্রামে যুগান্তর দল ও যথেষ্ঠ শক্তিশালী হয়েছিলো। <br /> 'রংপুরের আধিয়ার বিদ্রোহ ও তেভাগা আ ন্দোলন'-(সংকলক:শ্রী ধনঞ্জয় রায় রত্না প্রকাশন,১৪/১ পিয়ারীমোহন রায় রোড,কলিকাতা-৭০০০২৭) গ্রন্থ থেকে জানা যায় -<br /> রংপুর জেলাএককালে ছিল উত্তরবঙ্গ যুববিপ্লবী আন্দোলনের কেন্দ্র ।বিপ্লবী আন্দোলনের গোড়া থেকে এই জেলাতে অনুশীলন সমিতির বিস্তৃত কাজ ছিল। সতীশ পাকড়াশী সে যুগে দীর্ঘকাল রংপুর জেলাকে কেন্দ্র করে কাজ করেছিলেন । গোপন অবস্থায় তিনি গ্রামে- গঞ্জে ঘুরেছেন। পরবর্তী যুগে যুগান্তর দল বিশেষ শক্তিশালী হয়েছিল।ঢাকার শ্রীসঙ্ঘ ও বি ভি দলের কিছু কাজ ছিলএখানে।শহিদ প্রফুল্ল চাকির বাড়ি ছিল বগুড়া।তিনি রংপুর এ ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী চিলমারী বন্দরে ছিলেন।বিখ্যাত রডা রিভলভার অপসারণের সাথে জড়িত সুরেন বর্ধন ছিলেন নাগশ্বরিগঞ্জের বিশিষ্ট অধিবাসী।রংপুর শহরের বিখ্যাত আইনজীবী সতীশ চক্রব্তী মহাশয় শহীদ ক্ষুদিরামের মামলায় তাঁর পক্ষে দাঁড়িয়ে স্মরণীয় হয়ে আছেন।১৯৩০ এর দশকে বহু বিপ্লবী কর্মী বিনা বিচারে আবদ্ধ ছিলেন।অনেকে রাজদ্রোহমূলক বিভিন্ন মামলায় সাজা প্রাপ্ত ছিলেন।প্রসঙ্গক্রমে কুড়িগ্রামের অমরেন্দ্রপ্রসাদ (যিনি কালা লাহিড়ী নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন) এর আত্মকথন উল্লেখ করা যেতে পারে।তিনি লিখছেন-"সপ্তম শ্রেনীতে যখন পড়ি তখন নির্দিষ্ট একটি ব্যায়াম সমিতিতে যাইতে থাকি।ইহার এক ব`ৎসর পর মনে পড়িতেছে উক্ত ব্যায়াম সমিতির বৈপ্লবিক উদ্দেশ্যের সহিত অল্প অল্প সংযুক্ত হইয়া পড়িতেছিলাম। আস্তে আস্তে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের নজরে আসিয়া গিয়াছি। প্রকাশ্যে আমরা নানারূপ জনহিতকর এবং সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করিতাম। ১৯৩৩-৩৪ সনে আমাদের চতুর্থ ভ্রাতাকে (রবীন্দ্র প্রসাদ লাহিড়ী)কে গ্রেপ্তার করিয়া লইয়া যায়।ইতিমধ্যে আমাদের পিতা চাকুরি ত্যাগের সঙ্কল্প কাজে পরিনত করিয়া আমাদের পারিবারিক বাড়ি পাবনার সিরাজগঞ্জ মহকুমার শাহাজাদপুর থানার অন্তরগত ব্রাহ্মণগ্রামে পাঠাইয়া দেন।নুনখাওয়া হৈতে হাজ়ার মনের নৌকায় সাতদিনের ভ্রমণের কথা এখনো মনে উত্তেজনার সঞ্চার করে। <br /> পাবনার বাড়ীতে পৌঁছিবার পর আমার এবং ৪র্থ ভ্রাতা রবির উপর গতিবিধি নিয়ন্ত্রন করিয়া অন্তরীণ এর আদেশ জারী করা হয়।ঐ সময় আমরা বাড়ি হইতে প্রতি সপ্তাহে শাহাজাদপুর থানায় হাজিরা দিতে যাইতাম।তখন সেখানে আমরা রবীন্দ্রনাথের একদা আবাসস্থল ঠাকুর কাছারি দর্শন করি। পাবনার বাড়িতে থাকিবার সময় পিতার সংগ্রহিত ৭/৮ শত পুস্তক আমাদের অবসর সময়ের প্রধান অবলম্বন ছিল।এই প্রসঙ্গে মনে পড়িতেছে পিতা মহাশয় রংপুর সাহিত্য পরিষদ,উত্তর বঙ্গ সাহিত্ত পরিষদ এবং বঙ্গিয় সাহিত্ত পরিষদ এর সভ্য ছিলেন।পিতার সাহিত্য প্রীতি এরুপ ছিল যে তিনি তাহাঁর কর্মস্থল নুনখাওয়াতে একটি পাব্লিক লাইব্রেরী বিভিন্ন ব্যক্তির আর্থিক সহায়তায় স্থাপন করিয়াছিলেন।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-45042298676505496772008-07-06T21:25:00.003+05:302008-07-06T21:40:07.838+05:30kurigram memories শিক্ষা এবং.....:37 AM 7/6/2008<br />জীবন দে বিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করেন নি। এক স্থানে বলেছেন- স্কুল এর গেম টীচার ছিলেন ভবতোষ রায়। তাঁর লেখা থেকে জানা যাচ্ছে ,ত্রিশ এর দশকের প্রথম দিকে যখন বন্দী মুক্তি আন্দোলনের জেরে রাজবন্দীদের জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা হচ্ছে ,প্রধান শিক্ষক গেম টীচারকে ডেকে ছাত্রদের উপর নজর রাখতে বললেন। নির্দেশ দিলেন- ছাত্ররা যেন কারা মুক্ত রাজবন্দীদের সাথে মেলামেশা না করে,তাদের থেকে দূরে থাকে। অনুমান করি, স্কুলটি ছিল কুড়িগ্রাম হাই ইংলিশ স্কুল।অনুমানের ভিত্তি? একদা কুড়িগ্রাম এর অধিবাসী অমরেন্দ্র প্রসাদ লাহিড়ীর ড়ায়েরীর কয়েকটি পাতা,যা থেকে ত ৎকালীন কুড়িগ্রাম এবং সন্নিহিত অঞ্চলের কিছু চিত্র পাওয়া যাবে। "... যদিও আমাদের পারিবারিক বাড়ী পাবনা জেলায় ছিল কিন্তু আমাদের পিতামহের আমল হইতে কর্মস্থল তাঁহাদের ছিল রঙ্গপুর জেলায়।বাবার কর্মস্থল কুড়িগ্রাম মহকুমার নুনখাওয়া নামক বন্দরে ছিল। বন্দরের নিকট দিয়া ব্রহ্মপুত্র নদ প্রবাহিত ছিল।প্রতি বৎসর চৈত্র মাসে প্রায় মাসাধিক কাল ধরিয়া একটি বিশাল মেলা বসিত। আমাদের বাল্যকালে যখন সিনেমা থিয়েটারের প্রচলন ছিল না-ঐ মেলা আমাদের আনন্দ লাভের একমাত্র স্থল ছিল।উহার জন্য সমস্ত বৎসর ধরিয়া অপেক্ষা করিতাম।" তিনি লিখছেন- " গ্রামাঞ্চলে শিক্ষিত লোকের অভাব ছিল। ফলে আমাদের লেখাপড়া মোটেই ভালভাবে অগ্রসর হয় নাই। পরে নিবারণ সান্যাল মহাশয় আমাদের গৃহশিক্ষক নিযুক্ত হন- তাঁহার প্রচেস্টায় আমরা খুব তাড়াতাড়ি লেখাপড়ায় উন্নতি করি এবং আমি ও মেজদা (শচীন্দ্র প্রসাদ)১৯২৬ সনে কুড়িগ্রামে তৃতীয় ও ৪র্থ শ্রেণীতে ভর্তি হই। সে সময়ে আজকালের মত মাধ্যমিক বিদ্যালয় তো দূরের কথা,প্রাথমিক বিদ্যালয়ও সর্বত্র ছিল না। আমাদের নিকটতর বিদ্যালয় (১০ মাইল)কুড়িগ্রাম উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয়। আমি ও মেজদা সেই বিদ্যালয়ে ভর্তি হইলাম। ১৯২৭ সনে আমাদের চতুর্থ ভ্রাতা রবি তৃতীয় শ্রেনীতে ভর্তি হয়। তাহার দুই বৎসর পর আমাদের ৫ম ভ্রাতা বীরেন্দ্র ঐ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।১৯২৪ সনে আমাদের বড়দা অন্নদা প্রসাদ ঐ বিদ্যালয় হইতে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯২৬ সনে আমার বয়স ১২ বৎসর। ....."".......... কুড়িগ্রাম শহর ধরলা নদীর তীরে অবস্থিত। আমাদের সময় এবং দেশ ভাগের পর ১৯৫০ সন পর্যন্ত কোন পাকা রাস্তা ,বিদ্যুৎ বা আধুনিক নাগরিক জীবনের কোন ব্যবস্থা শহরে ছিল না।থাকিবার মধ্যে ২ টি থিয়েটার হল ছিল। উহাতে মাঝে মাঝে শহরের গন্যমাণ্য ব্যক্তিগণ নিজেরা সখের থিয়েটার করিতেন। তাহাতে আমাদের বিদ্যালয়ের কোন কোন শিক্ষকও অংশ গ্রহন করিতেন জন্য আমাদের খুব সন্তর্পণে এবং গোপনে উহা দেখিতে হইত। একটু উপরের শ্রেণীতে <br /><br />যখন উঠিয়াছি সে সময় কলিকাতা হইতে থিয়েটার দল অভিনয় করিতে কুড়িগ্রামে যায়। যেহেতু সেই সব দলে স্ত্রী চরিত্রে নারীরা অভিনয় করিতেন সেই জন্য আমাদের স্কুল হইতে নোটিশ দিয়া উহা দেখিতে নিষেধ করা হইয়া ছিল-ইহা বেশ স্মরণে আছে। আমাদের সময় প্রধান শিক্ষক শ্রী ইন্দুভূষণ রায়,বি.এ. খুব প্রভাবশালী এবং অভিজ্ঞ শিক্ষক ছিলেন। তাঁহার ইংরাজী পঠন-পাঠন খুবই আকর্ষনীয় ছিল। নিজে উচ্চ শিক্ষা লাভ করিতে পারি নাই কিন্তু শুনিয়াছি তখনকার দিনে কুড়িগ্রাম স্কুলের ছাত্ররা অতি সহজে কলেজের অধ্যাপকদের ইংরাজী পঠন-পাঠন অনুসরণ করিতে পারিত।....."<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com2tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-54779427643713550282008-07-05T23:06:00.002+05:302008-07-05T23:12:14.810+05:30গোডার কথা Kurigram memories10:33 AM 7/5/2008<br />জীবন দে ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কুচবিহার <br /><br />জেলায় এক পরিচিত নাম,কিছু সময়ের জন্য রাজ্য <br /><br />বিধান সভার সদস্য ছিলেন।"তুফানগঞ্জ সংবাদ" <br /><br />শিরোনামে একটা পত্রিকা প্রকাশ করেছেন বেশ <br /><br />কিছুদিন।তাঁর লেখা কয়েকটা গ্রন্থ আছে আমার <br /><br />সংগ্রহে।বিগত খ্রিষ্টীয় শতাব্দির ত্রিশ-চল্লিশের <br /><br />দশকের কুড়িগ্রামের কিছু কিছু ছবি স্বল্পভাবে <br /><br />আভাসিত হয়ে আছে তারঁ কয়েকটা বই-এ।"আমার <br /><br />জীবনে অক্টোবর" (প্রথম প্রকাশ মে,১৯৭৮-সীমান্ত <br /><br />প্রকাশনী সংস্থা-তুফা নগঞ্জ,কুচবিহার)এই ধরনেরই <br /><br />একটি বই। জীবন দে কিন্তু আদিতে কুড়িগ্রামের <br /><br />অধিবাসী ছিলেন না। তাঁর বাড়ি ছিল ত ৎকালীন <br /><br />ফরিদপুর জেলার দেওভোগ গ্রামে।কুড়িগ্রামে তাঁর <br /><br />আসার কথা তিনি লিখেছেন এইভাবে-বেড়াতে <br /><br />এসেছেন আমার ভগ্নীপতি নবকুমার দে।শহরের <br /><br />লোক তিনি।দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন রেল আর <br /><br />স্টীমারে... যাবে আমার সাথে? প্রশ্ন করেন <br /><br />জামাইবাবু।শহরে থাকবে,লেখাপড়া করবে।ধরলা <br /><br />নদীর পাড়ে কুড়িগ্রাম শহর। নদীর অপর পারেই <br /><br />মনে হবে তুরা পাহাড়।কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা চলেও <br /><br />পাহাড়ের নাগাল ধরতে পারবে না । নেবেন আমাকে <br /><br />আপনার সাথে? নেব-জামাইবাবু রাজি...।<br />জীবন দে ফরিদপুর ছেড়ে জামাইবাবুর সাথে <br /><br />কুড়িগ্রাম এলেন,বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন।তিনি <br /><br />লিখছেন -সেদিনের কুড়িগ্রাম হাই স্কুল-এর কাছেই <br /><br />ছিল মিশনারী ভবন। ছোটখাটো গির্জাও বলা যেতে <br /><br />পারে।স্কুলে টিফিন পিরিয়ডে মেমসাহেবরা আসেন <br /><br />আমাদের নিয়ে যেতে। প্রটেস্ট্যান্ট থেকে রোমান <br /><br />ক্যাথলিক ধারা উপধারার মগজ ধোলাই চলতো <br /><br />সেখানে। ভীড়ও নেহাৎ মন্দ নয়।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-91684348674234050662008-07-04T20:00:00.001+05:302008-07-04T20:01:56.946+05:30kurigram memoriesআমরা জেনে এসেছি অনুসন্ধিৎসা মানুষের পরম ধর্ম।এই অনুসন্ধিৎসা-ই মানুষকে আবাহমান কাল ধরে তার চলার পথে প্রেরণা যুগিয়েছে।বিজ্ঞানের নব নব আবিষ্কারের মূলেও আছে এই অনুসন্ধিতসা।নিজের বা পূর্বপুরুষের বাসস্থান নিয়ে কৌতুহল তাই একান্ত স্বাভাবিক ঘটনা।আবেগ বা নস্টালজিয়া শব্দ দিয়ে এই কৌতুহলকে ব্যাখ্যা করলে তা অতি সরলিকরন দোষে দুষ্ট হবে বলে আমার বিশ্বাস।<br /> প্রাককথন সমাপ্ত করতে চাই এই কথা বলে যে , বিস্মৃত শৈশবে ছিন্নমূল হয়ে যাওয়ার বেদনা আজও আমাকে ব্যথিত ও ক্ষতবিক্ষত করে।কুড়িগ্রাম সম্পর্কে আমার সংগ্রহে যা কিছু লেখা আছে বা মৌখিক শুনেছি-তা এই ব্লগে প্রকাশ করার প্রয়াসী হয়েছি।।এই উদ্যোগ প্রধানত আমার নিজ আনন্দের জন্য।তবু যদি আমার এই সামান্য উদ্যোগ অন্য কারও মনে সামান্য অনুরণ তোলে তবে আমি ধন্য হবো।<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-7089583614591369653.post-19322281629735780642008-07-03T14:56:00.001+05:302008-07-03T15:00:06.844+05:30কুড়িগ্রাম kurigram2:01 AM 7/3/2008<br /> প্রাককথন...২<br /> কিন্তু কেন এমন হল?এটা কি আটকান যেত না?এই প্রশ্নের উত্তর দেবে কে? কখনো মনে হয় রবীন্দ্রনাথ জীবিত থাকলে বাংলা দ্বিখন্ডিত হত না। যে ঘটনাক্রম ইতিহাসের পাতায় স্থান পেয়ে গেছে,তাকে পরিবর্তন করা আমার মতো ক্ষুদ্র ব্যক্তির পক্ষে বাতুলতা মাত্র। কিন্তু স্বপ্ন দেখতে বাধা কোথায়?আমি এমন এক সময়ের স্বপ্ন দেখি যখন মানুষকে দেশ হতে দেশান্তরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোন বাধার সম্মুখীন হতে হবে না, পাসপোর্ট- ভিসা ইত্যাদির জন্য সরকারি অফিস দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না-কেবলমাত্র একটা পরিচয়পত্র নিয়েই যখন খুশী যেখানে যেতে পারবে।ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানে অনেকাংশেইএটা সম্ভব হয়েছে।আমদের এখানে বাধা কোথায়?<div class="blogger-post-footer"><a href="http://banglaculture.blogspot.com/"><img border="0" src="http://www.filehive.com/files/080315/bcul1.2.gif"/></a></div>ASHOK LAHIRI অশোক লাহিড়ীhttp://www.blogger.com/profile/04799415796086401063noreply@blogger.com0